8th Pay Commission: অষ্টম পে কমিশনে বেতন কত বাড়ছে? ফর্মুলা বুঝে নিন।

8th Pay Commission Latest Updates: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে অষ্টম পে কমিশন। এই কমিশন গঠনের অনুমোদনের পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে বেতন কতটা বাড়বে, কী হবে পেনশনের নতুন নিয়ম। সরকার ও কর্মচারী প্রতিনিধিদের মধ্যে চলমান আলোচনার প্রেক্ষিতে জানুন বিস্তারিত।

অষ্টম পে কমিশন কী?

অষ্টম পে কমিশন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের বেতন-ভাতা পুনর্গঠনের জন্য গঠিত একটি কমিটি। বর্তমানে সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বেতন নির্ধারিত হলেও, নতুন কমিশন কার্যকর হলে বেতন কাঠামোয় বড় রদবদল আসবে।

সপ্তম vs অষ্টম পে কমিশন:

  • সপ্তম পে কমিশন: ন্যূনতম বেতন ₹১৮,০০০ (ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৫৭)।
  • অষ্টম পে কমিশন: ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বাড়িয়ে বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব।

ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর: বেতন বৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি

ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর হলো একটি গুণনীয়ক, যা বেসিক বেতন নির্ধারণে ব্যবহার হয়। এই ফ্যাক্টর যত বেশি, বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ তত বাড়ে।

সম্ভাব্য ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ও বেতন:

ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরন্যূনতম বেতন (₹)বৃদ্ধির হার
১.৯২৩৪,৫৬০২০%
২.০৮৩৭,৪৪০৩০%
২.৮৬৫১,৪৮০৮০%

নোট:

  • বর্তমান ডিএ (৫০%) যোগ করলে বেসিক বেতন হবে প্রায় ₹২৮,০০০।
  • ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে অষ্টম পে কমিশন কার্যকর হলে ডিএ ৬০% পৌঁছাতে পারে।

কর্মচারীদের প্রধান দাবিসমূহ

  • মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) একীকরণ: বেসিক বেতনের সাথে ডিএ-এর ৫০% যুক্ত করা।
  • পুরাতন পেনশন স্কিম ফেরত: কর্মচারীদের জন্য অ-অবদানভিত্তিক পেনশনের দাবি।
  • ন্যূনতম মজুরি পুনর্বিবেচনা: পরিবারকে ৫ সদস্যের পরিবর্তে ৩ সদস্যের ইউনিট ধরে হিসাব।
  • চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি: মাসিক চিকিৎসা ভাতা ₹৩,০০০ করা।
  • পেনশন সংশোধন: প্রতি ৫ বছর পর পেনশন বৃদ্ধি ও ১২ বছর পর পেনশনের পরিবর্তিত অংশ পুনরুদ্ধার।

সরকার-কর্মচারী বৈঠকের অগ্রগতি

গত ১০ ফেব্রুয়ারি কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগ (ডিওপিটি) এবং জাতীয় যৌথ পরামর্শদাতা পরিষদের (এনসি-জেসিএম) মধ্যে বৈঠকে আলোচিত হয়েছে:

  1. শর্তাবলী নির্ধারণ: বেতন কাঠামো, পেনশন ও অন্যান্য সুবিধার পরিসর।
  2. দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ: রেলওয়ে ও প্রতিরক্ষা কর্মীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা।
  3. পরিবার সংজ্ঞা সংশোধন: পিতামাতার ভরণপোষণ আইন-২০২২ মেনে পরিবারের সদস্য সংখ্যা পুনর্বিবেচনা।

বৈঠকের ফলাফল:

  • শর্তাবলী নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
  • আগামী কয়েক সপ্তাহে আরও আলোচনার পরিকল্পনা।

কী হবে পরবর্তী পদক্ষেপ?

  1. কমিশন গঠন: সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটির সদস্য নিয়োগ করবে।
  2. সুপারিশ প্রণয়ন: ১৮-২৪ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার লক্ষ্য।
  3. বাস্তবায়ন: ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন বেতন কার্যকর হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতামত

  • ডিএ একীকরণ: মূল বেতনের সাথে ডিএ যুক্ত হলে কর্মচারীদের প্রকৃত আয় বাড়বে।
  • ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৮৬: মুদ্রাস্ফীতি ও জীবনযাত্রার খরচ বিবেচনায় এই দাবি যুক্তিসঙ্গত।
  • পেনশন সংস্কার: পুরনো স্কিম ফেরানো হলে সরকারের আর্থিক চাপ বাড়তে পারে।

সচেতনতার বিষয়

  • আপাতত অপেক্ষা: কমিশনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
  • মিথ্যা তথ্য এড়িয়ে চলুন: সামাজিক মাধ্যমের গুজবের পরিবর্তে সরকারি বিজ্ঞপ্তির উপর ভরসা রাখুন।

মনে রাখবেন:
অষ্টম পে কমিশনের সুপারিশ চূড়ান্ত হলে প্রায় ১ কোটি কেন্দ্রীয় কর্মচারী ও পেনশনভোগী উপকৃত হবেন। তবে, এই প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ এবং আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।


সূত্র: কর্মী মন্ত্রক, এনসি-জেসিএম বৈঠকের তথ্য

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top