ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৫ সালের বাজেটে একটি নতুন আয়কর আইন পেশ করার পরিকল্পনা করছে। এটি বিদ্যমান ১৯৬১ সালের আয়কর আইনকে প্রতিস্থাপন করবে। আইনটিকে সহজ, বোধগম্য এবং স্বচ্ছ করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
নতুন আয়কর আইনের পরিকল্পনা
নতুন আয়কর আইনটি বিদ্যমান আইনের সংশোধন নয়, বরং সম্পূর্ণ নতুন আইন। আইন মন্ত্রক বর্তমানে এর খসড়া বিবেচনা করছে। এটি বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে সংসদে পেশ হতে পারে।
উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য:
- পৃষ্ঠার সংখ্যা ৬০% পর্যন্ত কমানো।
- আইন সহজ ও বোধগম্য করা।
- করদাতাদের জন্য বিরোধ ও মামলা-মোকদ্দমা হ্রাস।
- কর প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা।
কমিটি গঠন এবং কাজ
২০২৫ সালের বাজেট অধিবেশনের আগে আইন পর্যালোচনার জন্য সিবিডিটি (CBDT) একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করেছে।
গঠনমূলক পদক্ষেপ:
- আইন সহজীকরণের জন্য ২২টি বিশেষ উপ-কমিটি।
- জনসাধারণের থেকে পরামর্শ গ্রহণ।
- মামলা-মোকদ্দমা হ্রাস এবং অপ্রচলিত বিধান অপসারণ।
কাজের দিক | লক্ষ্য |
---|---|
আইন সরলীকরণ | ভাষা সহজ ও বোধগম্য করা। |
মামলা-মোকদ্দমা হ্রাস | বিরোধ কমানো। |
সম্মতির অভাব | অপ্রচলিত নিয়ম সরানো। |
পরামর্শ ও প্রতিক্রিয়া
আইনটি পর্যালোচনার জন্য স্টেকহোল্ডারদের থেকে ৬,৫০০ টি পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। পরামর্শগুলো চারটি বিভাগে বিভক্ত:
- ভাষার সরলীকরণ।
- বিরোধ ও মামলা-মোকদ্দমা হ্রাস।
- সম্মতির অভাব দূর করা।
- অপ্রচলিত বিধান বাতিল।
বাজেট অধিবেশনের সময়সূচি
- বাজেট অধিবেশন: ৩১ জানুয়ারি – ৪ এপ্রিল ২০২৫।
- প্রথম পর্ব: ৩১ জানুয়ারি – ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
- দ্বিতীয় পর্ব: ১০ মার্চ – ৪ এপ্রিল ২০২৫।
- বাজেট পেশ: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
নতুন আয়কর আইন ৬৪ বছরের পুরনো আইনের বিকল্প হতে পারে। এটি সাধারণ মানুষের জন্য কর ব্যবস্থাকে সহজ করবে এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনবে। আইনটি কার্যকর হলে করদাতারা সহজেই এর দিকনির্দেশনা বুঝতে পারবেন।